Site Links

Tuesday, February 23, 2016

মনের স্থিরতা আনার কোরআনি আমল

Decrease font Enlarge font
বর্তমান বিশ্ব অদ্ভুত, অস্থির ও যন্ত্রণাময়। যার অধিক আছে সেও অস্থির, যার কিছু নেই সেও অস্থির। কেউ অস্থির নিজের সীমা বাড়াতে, কেউ অস্থির নিজের শক্তি বাড়াতে। এ কারণে প্রতিনিয়ত মন যেনো জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়ানো চারাগাছের মতো দোদুল্যমান। ফলে মনের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বিশ্বশান্তি।

তাই সমাজ-সংসার ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মনের স্থিরতা অতীব জরুরি বিষয়। আমরা জানি, বর্তমান কর্মব্যন্ত যুগে মানসিক চাপ অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। প্রচুর কাজের চাপে মানসিক চাপ সমস্যায় বহু মানুষই বিপর্যন্ত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পবিত্র কোরআনে কারিমের একটি আয়াত নিয়মিত তেলাওয়াত করা যেতে পারে। বুজুর্গরা বলেছেন, তাতে মনে স্থিরতা আসবে।

আয়াতটি কোরআনে কারিমের সূরা হুদের ১১২ নম্বর আয়াত। আয়াতটি হলো-

  فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْا إِنَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

উচ্চারণ: ‘ফাসতাকিম কামা উমিরতা- ওয়ামান তাবা মাআকা, ওয়ালা তাতগাও ইন্নাহু বিমা তা’মালুনা বাসির।’

অর্থ : সুতরাং (হে পয়গম্বর) তোমাকে যেভাবে আদেশ করা হয়েছে তাতে (সরল পথে) দৃঢ়ভাবে অবস্থান করো, তুমি এবং তোমার সঙ্গে যারা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছো (সবাই, সঠিক পথ থেকে) সীমালংঘন করো না। তোমরা যা করো তিনি (আল্লাহ) তা ভালোভাবেই দেখেন।

আমল: প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বর্ণিত আয়াতখানা ১১ বার করে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ মনের অস্থিরতা দূর হবে। অন্তরে প্রশান্তি মিলবে।

আয়াতের তাফসির: বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতালা মুমিন বিশ্বাসীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, বিরুদ্ধবাদীদের আচরণ যেন তাদের মনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজের মত বিশ্বাসের ওপর স্থির ও অবিচল থাকতে হবে। এর পাশাপাশি বিরুদ্ধবাদীদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনও আল্লাহর দেওয়া সীমারেখা অতিক্রম করা যাবে না।

হজরত রাসূলে কারিম (সা.) বলেছেন, সূরা হুদ আমাকে বৃদ্ধ করে ফেলেছে। বস্তুত এই আয়াতের কারণেই আল্লাহর রাসূল এমন মন্তব্য করেছিলেন। এখানে যেমন পয়গম্বরকে ধৈর্য ও প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে, তেমনি মুমিন বিশ্বাসীদেরকে স্থির অবিচল থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, খোদোদ্রোহী শক্তির অনুপ্রেরণায় নিজের আদর্শের ব্যাপারে যেমন অমনোযোগী বা আপোষকামী হওয়া যাবে না; তেমনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন বা বাড়াবাড়িও করা যাবে না। প্রতিরোধ ও ভারসাম্যমূলক অবস্থানই হচ্ছে ইসলামের শিক্ষা।

নোট : আরবির সঠিক ও যথাযথ উচ্চারণ বাংলায় পুরোপুরি করা সম্ভব হয় না। তাই আয়াতটি আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব কিংবা কোনো অালেমের কাছ থেকে শিখে নিবেন।

No comments:

Post a Comment