Site Links
Wednesday, July 6, 2016
Monday, April 18, 2016
খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর করার ৭টি সহজ উপায়
খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটা ক্রম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়।
- ১. পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
- ২. টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।
- ৩. একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।
- ৪. মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।
- ৫. মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।
- ৬. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
- ৭. পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।
লক্ষ্য করুন :
*পুষ্টিকর খাবার খান। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
*চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।
*কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন।
খুসকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আসছে না আসছে করেও কিন্তু শেষেমেষ শীত এসে হাজির। নানা রকম সবজিতে ভরে গেছে বাজার। তাই শীত মানেই জমিয়ে খাওয়ার আয়েস। তবে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে শীতকালটা কিন্তু মোটেও সুবিধার নয়।
শীতকালে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ-সুক্ষ। উপরন্তু বাড়তি পাওনা খুসকি। শীতকালে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তাতেই এই সমস্যা। এছাড়া বিভিন্ন কারণেও খুসকি হতে পারে। যেমন-ব্যাকটেরিয়াল বা ফানগাল ইনফেকশন। চুলে ঠিক মত শ্যাম্পু না করা ও চুল ঠিক মত না আঁচড়ানো অথবা পুষ্টির অভাবে, এইসব কারণ হতে পারে খুসকির।
তবে আজকাল বাজার ভরে গেছে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই শ্যাম্পুতে থাকা কেমিকেল খুসকি তো তাড়ায় কিন্তু চুল হারিয়ে ফেলে তার প্রাণ। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুসকি। তাই চিরতরের জন্য এই খুসকি বিদায় করতে আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
১) ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো আর দইয়ের একটি মিশ্রণ বানিয়ে ভাল করে চুলের গোরায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) অলিভ ওয়েল বা তিল তেল সারা রাত চুলে লাগিয়ে সকালে স্নান করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোরায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভিনিগার আর জল সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোরায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে ভাল করে বেটে নিয়ে চুলের গোরায় লাগান। ২,৩ ঘণ্টা রেখে শিকাকাই বা রিঠা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) আপেল থেকে তার রস বার করে নিন। এই রস দিয়ে ভাল করে চুল ম্যাসাজ করুন, খুসকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
৬) বিট মূলের রস,ভিনিগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত খুসকি দুর হবে।
৭) অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতা বেটে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮) চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভাল করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধোবেন। একবার শ্যাম্পু করলেই তফাত বুঝতে পারবেন |
৯) নিম পাতার অনেক রকম অ্যান্টি ব্যায়োটিল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফানগাল গুণ আছে, তাই যাদের অনেক খুসকি আছে তারা নিমের পাতা বেটে আধ ঘণ্টা মাথায় লাগিয়ে রাখুন,পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার লাগান। আর খুসকি থাকবে না।
১০) রসুন যা সহজেই পাওয়া যায়, খুসকি সারানোর জন্য এটা খুবই ভাল। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে অধঘন্টা লাগিয়ে রাখুন পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তবে আজকাল বাজার ভরে গেছে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই শ্যাম্পুতে থাকা কেমিকেল খুসকি তো তাড়ায় কিন্তু চুল হারিয়ে ফেলে তার প্রাণ। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুসকি। তাই চিরতরের জন্য এই খুসকি বিদায় করতে আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
Tuesday, April 12, 2016
স্টার্ট মেনুতে Run বাটন যোগ করে নিন উইন্ডোজ ৭ এ
প্রথমে আপনার টাস্ক বার এ মাউস রেখে রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন।
এরপর যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে Start Menu তে ক্লিক করুন।
এরপর Customize এ ক্লিক করুন।
এরপর নিছের দিকে গিয়ে দেখুন Run Command নামে একটা অপশন আছে ওইখানে টিক দিয়ে Ok করে বের হয়ে আসুন। বোঝার সুবিধার জন্য স্ক্রীন শট দিলাম।
Wednesday, March 23, 2016
প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার ৩৪ টি উপকারিতা
বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই। ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণায় রসুনের এইসকল গুণাবলী প্রকাশ পায়।
আজ জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। জেনে নিন প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা।
১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
১১) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১২) গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
১৩) স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
১৪) রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫) প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৬) পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
১৭) ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে।
১৮) শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।
১৯) ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
২০) দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
২১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২২) হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়।
২৩) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২৪) স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে।
২৫) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
২৬) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
২৭) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
২৮) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৯) চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
৩০) রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩১) দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩২) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে।
৩৩) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৩৪) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সতর্কতাঃ
১) দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া যায়।
২) রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো।
৩) অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।
জেনে নিন যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের উপকারিতা !
খালি পেটে রসুন খাবার উপকারিতা
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ আর রক্ষা পায় না।
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
খালি পেটে রসুন খাবার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।
যাদের রসুন খাবার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাদের রসুন খাবার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়া ভাল।
ত্বকের ৫টি সমস্যা সমাধানে মেহেদিপাতার ব্যবহার
১. পা ফাটা
২. খুশকি
৩. পানি পচা রোগ
৪. বলিরেখা
৫. পুরোনো ক্ষত
মেহেদি পাতার ৭টি অসাধারণ ঘরোয়া ব্যবহার
১। পায়ের জ্বলাপোড়া রোধ
২। মাথাব্যথা হ্রাস করতে
৩। মুখের ঘা ভাল করতে
৪। টাক পড়া রোধ
৫। খুশকি দূর করতে
৬। ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করতে
৭। বাতের ব্যথা রোধে
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার উৎসব!
Thursday, March 10, 2016
flexi-plane নেই তো কি হয়েছে- দুটো নতুন পদ্ধতিতে মাত্র ১.১৮ টাকাতে বাড়িয়ে নিন আপনার GP সিমের MB এর মেয়াদ ১ মাস। না দেখলে আপনার লস…।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সম্প্রতি flexi-plane এর কিছু পরিবর্তনের জন্য অনেকেই GP সিমে MB এর মেয়াদ বাড়াতে পারতেছেন না। অনেকেই এর জন্য আমাকে FB এ মেসেজ করেছে তাই তাদের জন্যই আমার আজকের এই টিউন লিখা।
প্রথমে বলে রাখি আপনার যে MB গুলো *৫৬৬*১০# ডায়াল করলে দেখা যাবে শুধুমাত্র সেই MB গুলোর মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।
আমি Flexi-plane চালু হবার আগে থেকেই ১ম পদ্ধতিটা ব্যবহার করে MB এর মেয়াদ ১মাস করে বাড়িয়ে নেই।
★১ম পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনার সিমের ইন্টারনেট বন্ধ করতে ডায়াল করুন *5000*0*4*3# তার পরে এই মেসেজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ↓
সিমের নেট বন্ধ হলে ডায়াল করুন *500*1# এখন এই মেসেজ আসবে ↓
এর পরে ডায়াল করুন *5000*8*1*1*2# এখন এই মেসেজ আসবে ↓
কাজ শেষ এখন MB চেক করতে ডায়াল করুন *566*10# দেখুন ১মাস মেয়াদ বেড়ে গেছে।
★★২য় পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনার সিমের ইন্টারনেট বন্ধ করতে ডায়াল করুন *5000*0*4*3# তার পরে এই মেসেজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ↓
সিমের নেট বন্ধ হলে ডায়াল করুন *5000*55# এখন এই মেসেজ আসবে ↓
এর পরে ডায়াল করুন *5000*8*1*1*2# এখন এই মেসেজ আসবে ↓
কাজ শেষ এখন MB চেক করতে ডায়াল করুন *566*10# দেখুন ১মাস মেয়াদ বেড়ে গেছে।
★★★ আরেকটি কথা বলে রাখি MB এর মেয়াদ বাড়ানোর পরে অনেক সময় নেট স্পিড কমে যায়। যদি আপনার নেট স্পিড কমে গিয়ে থাকে তবে*5000*55# ডায়াল করে GP easy-net চালু করবেন। তাহলে আবার সুপার ডুপার 3G স্পিডে নেট চলতে শুরু করবে।
★★★আরেকটা ছোট্ট জরুরি একটা টিপস দেই- অনেক সময় সিমে MB থাকার পরেও ইন্টারনেট অন হয়না,এতে অনেকেই নতুন করে MB কিনে নেট চালু করেন তারাও *5000*55# ডায়াল করবেন তাহলেই বিনামুল্যে ইন্টারনেট চালু হবে।
★★★★আগে পদ্ধতি গুলোতে MB বাড়ানোর চেষ্টা না করে কোন টিউমেন্ট করবেন না। কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি →Facebook
Monday, February 29, 2016
বড়শিতে দেড় মণ ওজনের ‘চাকল’ মাছ
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদী থেকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নেছার আলী গাজীর বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে।
সকালে মাছটি দেখতে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে নেছার আলী গাজী মাছটি বিক্রি করতে শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি বাজারে নিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা জানান, জলজ এই প্রাণীটি দেখতে অনেকটা শাপলা পাতা মাছের (স্টিং রে ফিস) মতো। তবে এই ‘মাছ’ আগে তারা দেখেননি।
মাছটির ছবি দেখে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক অলিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এটি বিরল প্রজাতির। যার বৈজ্ঞানিক নাম Himantura leoparda. চীন ও ভারত সাগরে এদের বেশি দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরেও আছে, তবে সংখ্যায় কম। এর সবচেয়ে অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি মুখ দিয়ে বাচ্চা প্রসব করে।
সিলেটে নতুন মেরুকরন: শফিক মেয়র, কামরান প্রশাসক, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এমপি হচ্ছেন!
সিলেটের রাজনীতিতে বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একচ্ছত্র কর্তত্ব আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্নাতীত। মুহিতকে সবাই একবাক্যে সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন। মুরুব্বী হিসেবে মুহিতের পেছনে সিলেটের আওয়ামীলীগ একাট্রা। মুহিতের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন সদ্য জাতিসংঘ থেকে ফিরে আসা সফল কূটনীতিক ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন। শেখ হাসিনার সরকার মোমেনকে এক বছর আগেই সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন অধিকতর বৃহত্তর দায়িত্ব দেয়ার জন্যে। মোমেনের পেছনে সিলেটের আওয়ামীলীগও জড়ো হতে যাচ্ছেন সমানভাবে, সজ্জন, সৎ ও মুরুব্বী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাবমূর্তি এবং নিজস্ব ক্যারিশম্যাটিক ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মোমেনও হয়ে উঠছেন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধেয়। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী আগামী দিনের সিলেটের রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আর উপদল যাতে মাথা চাড়া দিয়ে না উঠে সেজন্যে নতুন মেরুকরন করতে যাচ্ছেন।
সিলেটের রাজনীতিতে শফিক চৌধুরী যেমন অপরিহার্য, তেমনি বদর উদ্দিন কামরানও। সেই সাথে উদীয়মান রাজনীতিক হিসেবে তরুণ আনোয়ারুজ্জামানও নেত্রীর কৃপা লাভে সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ডঃ মোমেনের আগামী দিনের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তরুণ আনোয়ারুজ্জামানের পাশাপাশি অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত শফিক চৌধুরী ও কামরানের সমন্বয়ে গোটা সিলেটকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে মেসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাটকীয় কোন বিপর্যয় না ঘটলে সিলেটের মেয়র হিসেবে শফিক চৌধুরী, বদর উদ্দিন কামরান( কেন্দ্রীয় সাংগঠণিক সম্পাদক না হলে) জেলা প্রশাসক, আর বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জের আসনে তরুন আনোয়ারুজ্জামানকে নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে আওয়ামীলীগে। শেখ হাসিনা চাননা ডঃ মোমেনের ক্যারিশম্যাটিক ও চৌকস ইমেজে সিলেটের রাজনীতিতে সামান্যতম দাগ লাগুক। ডঃ মোমেন শুধু সিলেটে নন- আওয়ামীলীগ সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক অ্যাসেট আর বিশেষ কিছু গুরু দায়িত্ব অর্পন হতে যাচ্ছেন।শেখ হাসিনার সরকারের বিশেষ অ্যাসাইনম্যান্ট নিয়ে শীগ্র মোমেনের অভিষেক হতে যাচ্ছে।
(চলবে)
Sunday, February 28, 2016
বিল গেটসের খোলা চিঠি
বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের এক হাইস্কুলে শিক্ষার্থীরা বিল এবং মেলিন্ডা গেটস দম্পতির কাছে জানতে চেয়েছিল, তাঁদের কাছে যদি একটি অতি মানবীয় শক্তি থাকত, তবে সেটি কী হতো? ফেসবুেক নিজের পেজে এক চিঠিতে সেই উত্তর দিয়েছেন বিল গেটস।
আমাদের যদি কোনো অতি মানবীয় শক্তি বা সুপারপাওয়ার থাকত, তবে তা কী হতো? কেনটাকির উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মেলিন্ডা এবং আমাকে এই প্রশ্নটি করেছিল। আমাদের উত্তরটা হয়তো সুপারহিরো ভক্তদের মন পুরোপুরি জয় নাও করতে পারে। আমরা শুধু চেয়েছিলাম আমাদের ব্যস্ত জীবনের সবকিছু গুছিয়ে করার জন্য আরও শক্তি এবং সময়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী শত কোটি পরিবারের কাছে শক্তি এবং সময়ের চ্যালেঞ্জটা আমাদের চেয়ে আলাদা। এ থেকে তারা নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কেও ভালো ধারণা পায়। এ কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় রেখেছি।
কল্পনা করুন, শক্তিশূন্য একটি জীবন। একটি বৈদ্যুতিক বাতি, মোবাইল ফোন, কিংবা ফ্রিজ চালানোর শক্তিটুকুও নেই। বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ এমন এক অবস্থায় আছে, যা কল্পনাতীত। এটাই বিশ্বের ১৮ শতাংশ জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবন।
এক কথায় বলতে গেলে বলা যায়, ‘সবার জন্য সব সময় জীবন ভালো কাটে না। বেশির ভাগের জন্য অধিকাংশ সময়ই এমন।’ এর পেছনে দায়ী মূলত শক্তি। শত-সহস্র বছর ধরে মানুষ কাঠ-কয়লা পুড়িয়ে শক্তি পেয়েছে। তবে আঠারো শতক থেকে কয়লার ব্যবহার জীবনকে দ্রুততার সঙ্গে সহজ করেছে। এখনো অনেক দরিদ্র মানুষ শক্তি ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। কাজেই আমরা যদি বিশ্বের বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করতে চাই, তাহলে আমাদের শক্তির এমন উৎস খুঁজে বের করতে হবে, যা তারা সহজেই পেতে পারে। এমনভাবে এই কাজটা করতে হবে, যেন জলবায়ুর পরিবর্তনকে আরও গুরুতর করে না তোলে। কারণ, তাহলে তারা আরও বিপদে পড়ে যাবে।
আরও কম দামি শক্তি উৎপন্ন করতে হলে আমাদের সৌর ও বায়ুশক্তির মতো সহজলভ্য মাধ্যমে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নতুন নতুন ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে। কিছু বিক্ষিপ্ত ধারণাও আসবে, কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা এই বিষয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দেবেন। কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি আনা সম্ভব হবে এবং শক্তিকে সবার জন্য আরও সহজপ্রাপ্য করা সম্ভব হবে। প্রায় ১০০ কোটি মানুষের দিনের অনেকটা সময়ই চলে যায় নিত্যদিনের প্রয়োজনে কাঠ এবং পানি সংগ্রহ করতে। এই সময় নষ্ট করার কাজগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই করে থাকে। এই অমানসিক পরিশ্রম এবং বোঝা বাড়ানো ঠিক নয়। উন্নয়নের পথেও এটা অনেক বড় বাধা।
শক্তি এবং সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। বিশ্বকে আরও উন্নত করতে হলে কী কী করা উচিত? জানান আপনার মতামত। সঙ্গে থাকুন আমাদের। (সংক্ষেপিত)
অনুবাদ: দেব দুলাল গুহ
রাজস্থানের পাহাড়ে দুধের ঝর্ণা!
x
পানিতে রঙ মাখানো অথবা রাসায়নিক কোনো কারসাজি নয়, সত্যি সত্যিই রাজস্থানের বাসিন্দারা দুধের ধারা দেখলেন!
আসলে কী ঘটেছে রাজস্থানে? স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সোমবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিরোহির পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কিছুক্ষণ দুধের ঝর্ণাধারা উপভোগ করেন স্থানীয়রা। কোনো দৈব ব্যাপার নয়, আকস্মিকভাবেই ঘটনার সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকালে সিরোহির বাহারিঘাটা অঞ্চলে পাহাড়ি সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি ট্যাঙ্কার। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাঙ্কারটিতে ভর্তি থাকা দুধ গড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের কোল বেয়ে।
গুজরাটের একটি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ হাজার লিটার দুধ নিয়ে রাজস্থানেই আসছিল ওই ট্যাঙ্কারটি। আর পথেই ঘটে গেলো এ বিস্ময়কর দুর্ঘটনা।
প্রথমে বিস্ময়ের ঘোরে থাকলেও পরে বালতি, ড্রাম আর ক্যান নিয়ে দুধ সংগ্রহে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন স্থানীয়রা। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই লেগে যায় ‘পাহাড়ি দুধের ঝর্ণা’ থেকে দুধ সংগ্রহের মহোৎসব। একসময় আসল ঘটনা জানতে পেরে সবার বিস্ময় কাটে।
অন্যদিকে, বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে উদ্ধারকারী ক্রেন এসে রাস্তায় উল্টে থাকা ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে নিয়ে পাহাড়ি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
পরনিন্দাকারীর জন্য জান্নাতের দরজা বন্ধ
অনেকেই তো পরনিন্দাকে পাপ বা নিষিদ্ধ কোনো কিছু বলে মনেই করেন না। অথচ গীবত একটি জঘন্যতম পাপ। মদপান, চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক ও নিকৃষ্টতম। কেননা এসব পাপ তওবার দ্বারা ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু গীবতকারীর পাপ শুধু তওবা করলেই তা মাফ হবে না, বরং যার বিরুদ্ধে গীবত করা হয়েছে সে ব্যক্তি যদি মাফ করে তাহলেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যাবে।
গীবত আরবি শব্দ। যার অর্থ পরনিন্দা। ইসলামের পরিভাষায় কারও অনুপস্থিতিতে তার কোনো দোষ-ত্রুটি অন্যের কাছে আলোচনা করাই গীবত। যদিও তার মধ্যে ওই দোষগুলো বিদ্যমান থাকে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক সাহাবীর প্রশ্নের জবাবে বলেন- ‘গীবত হচ্ছে যা শুনলে তোমার ভাইয়ের খারাপ লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা করার নামই গীবত।’ এতে ওই সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করেন, আমি যা বলছি তা যদি ওই ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবু কি তা গীবত হবে? তখন মহানবী (সা.) প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘যদি তার মধ্যে ওই দোষগুলো থাকে তাহলেই তো গীবত হবে আর তা না থাকলে সেটা হবে তোহমত যার অর্থ অপবাদ।’
পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরিফে গীবত সম্পর্কে কঠোর ভাষায় হুশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে বারবার। মহান আল্লাহতায়ালা সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপের কাজ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে গীবত করো না।’
নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউই কারও গীবত করবে না। গীবত করলে তোমরা ধ্বংস হবে।’ মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা গীবত থেকে বেঁচে থাকো। কারণ তাতে তিনটি ক্ষতি রয়েছে-
১. গীবতকারীর দোয়া কবুল হয় না, ২. গীবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না ও ৩. আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হতে থাকে।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি কারও দোষ বর্ণনা করতে ইচ্ছা করো তখন নিজের দোষের কথা স্মরণ করো। যদি নিজের দোষ না দেখে শুধু অন্যের দোষই বর্ণনা করতে থাকো তাহলে আখেরাতে আল্লাহও তোমার দোষ প্রকাশ করবেন।’
কোরআন ও হাদিসে গীবতকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যেভাবে মৃত ব্যক্তির গোশত কেটে ভক্ষণ করা হলে মৃত ব্যক্তির কোনো কষ্ট হয় না, তেমনি কারও গীবত করা হলে সে অনুপস্থিত থাকায় তারও কোনো কষ্ট হয় না। এভাবে মৃত ব্যক্তির গোশত ভক্ষণ অত্যন্ত খারাপ ও নিকৃষ্ট কাজ, যা মানুষের রুচি বিরুদ্ধ। ঠিক গীবতও এ রকম।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা গীবত করবে এরা ইহকালে যদিও ভালো ভালো নেক আমল করে, রোজা রাখে বা অন্যান্য ইবাদত করলেও এদের পুলসিরাত অতিক্রম করতে দেওয়া হবে না। বরং তাদেরও বলা হবে- তোমরা গীবতের কাফ্ফারা না দেওয়া পর্যন্ত সামনে এগুতে পারবে না।’
অথচ পুলসিরাত অতিক্রম না করে কারও পক্ষেই জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বোঝা গেল, গীবতকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
জাহান্নামে গীবতকারীদের দেহ থেকে গোশত ঝরে পড়বে। এক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কঠিন শাস্তি ও দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে মানুষের নিন্দা করে থাকে।’ প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, আগুন যত দ্রুত শুষ্ক কাঠকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়। গীবত তার চেয়েও অতি দ্রুত বান্দার নেক আমলগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।’
গীবত বা পরচর্চা নামাজ-রোজা বাদ দেওয়ার চেয়েও নিকৃষ্টতম। গীবত বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েজ যেমন-
১. অত্যাচারী জালেম শাসকের সম্পর্কে গীবত করা যাবে।
২. কারও দোষ দূর করার জন্য গীবত করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
৩. কোনো ব্যক্তিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বা পাপ কাজ থেকে লজ্জা দেওয়ার জন্য গীবত করা যাবে।
৪. কাউকে কোনো ভালো শিক্ষা ও সৎ পথে আনার উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তির গীবত করা যাবে।
৫. দ্বীন ইসলামের প্রতি উৎসাহী করার জন্য গীবত করাও বৈধ।
৬. কেউ যদি বিয়ের উদ্দেশ্যে কারও কাছে পাত্র বা পাত্রীর সম্পর্কে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করে বা জানতে চায়। তাহলে নিয়ম হলো- দোষ-ত্রুটি থাকলে তা বলে দেওয়া। তা গীবত হবে না। কারণ ওই পাত্র বা পাত্রীর দোষ-ত্রুটি এখন না বললেও বিয়ের পরে যখন প্রকাশ পাবে তখন দাম্পত্য জীবনে অনেক ফেৎনা-ফ্যাসাদ ও ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে।
আমাদের পুরোপুরি ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে দৈনন্দিন কতই না পরনিন্দা করে যাচ্ছি। আর এ নিন্দার মাধ্যমে পরস্পরের দোষচর্চা হয়ে থাকে বলে তাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই জন্ম নিচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, আর তা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে ঝগড়া-বিবাদ, হানাহানিসহ বিভিন্ন ফেৎনা-ফ্যাসাদ। এর মাধ্যমে পরস্পরের আত্মবিশ্বাস ও সহমর্মিতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। শত্রুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজে, যার ফলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবন হয়ে ওঠে অশান্ত ও গ্লানিময়।
অতএব, আমাদেরসবার উচিত অন্যের দোষ-ত্রুটি অপরের কাছে আলোচনা না করে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করতে সচেষ্ট থাকা। তাহলে পরনিন্দা করার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
Wednesday, February 24, 2016
আমার মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন
আমিন, আমিন, ইয়া রাব্বুল আল-আমিন।
মায়ের মর্যাদা..............
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
একদা এক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর কাছে আরয করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)!
আমার থেকে কোন ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী সৌজন্যমূলক আচরণ পাওয়ার অধিকারী?
রাসুল (সা.) বললেন, তোমার ‘মা’।
লোকটি বলল, তারপর কে?
রাসুল (সা.) বললেন, তোমার ‘মা’।
লোকটু পুনরায় জানতে চাইলো তারপর কে?
রাসুল (সা.) বললেন, তোমার ‘মা’।
লোকটি আবারও জানতে চাইলো, তারপর কে? রাসুল (সা.) বললেন, তোমার ‘বাবা’।
(বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিম শরীফের আরেকটি বর্ণনায় আসছে, রাসুল (সা.) বললেন- তোমার মা, অতপর তোমার মা, অতপর তোমার মা, অতপর তোমার পিতা। তারপর তোমার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব পর্যায়ক্রমে তোমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী।
মেশকাত, হাদীস নং-৪৬৭১/১
ব্যাখ্যা ও শিক্ষাঃ হাদীসটির ব্যাখায় মোহাদ্দেসীনে কেরামগণ বলেন, মায়ের কথা তিনবার বলার কারণ হলো
১. মা তার সন্তানকে কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেন।
২. জীবনের ঝুকি নিয়ে সন্তানকে প্রসব করেন।
৩. চব্বিশটি মাস নিজের বুকের দুধ পান করান।
...........কেহ কেহ বলেছেন,
সন্তান তার মায়ের পেটে তিনটি পর্দার ভিতর থাকে এবং যখন মা তাকে প্রসব করেন তখন এ
তিনটি পর্দা ভেদ করে সে দুনিয়াতে আসে। এ জন্য মায়ের ক্ষেত্রে বেশী অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
হাদীসে আল্লাহর রাসুল (সা.) আরো বলেন.....‘‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত।”
মুসলিম শরীফের আরেকটি হাদীসে বলা হয়েছে... রাসুল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে পেল অথবা তাদের যে কোন একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেল, অথচ (খেদমত করে সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না, তার নাক ধুলায় মলিন হোক (অর্থাৎ সে ধ্বংস হোক)।”
অন্য জায়গায় রাসুল (সা.) মায়ের দিকে নেক নজরে তাকালে কবুল হজ্জের সাওয়াবের কথা বলেছেন।
এমনকি সন্তান যদি প্রতিদিন একশতবার মায়ের দিকে নেক নজরে সাওয়াবের আশায় তাকায়,
আল্লাহ তাকে একশত হজ্জের সাওয়াব দান করবেন বলা হয়েছে।
অথচ বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যায় সাধারণ ব্যাপারে সন্তান তার বাবা-মাকে কষ্ট দেয়।
বাবা-মায়ের উপর তার স্ত্রী বা সন্তানদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। স্ত্রীর অধিকার কিংবা সন্তানের
অধিকার বা হক সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। আজ যদি আমি আমার বাবা-মাকে সম্মান না করি,
তাদের চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ না করি, তাহলে কিভাবে আমি আমার সন্তানের কাছ থেকে একসময়
এমন ব্যবহার পাওয়ার আশা করতে পারি?
আজ আমি আমার সন্তানকে নিজে না খেয়ে তাকে খাওয়াই,
দিন-রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে সন্তানের যত্ন নেই, সন্তানের একটু অসুখ করলে নিজের
ঘুম হারাম করে তার সেবা করি, সন্তানের একটু মুখের হাসি আমার মনে প্রশান্তি এনে দেয়,
তাহলে আমরা কেন একটু চিন্তা করি না যে, আমরাও একসময় ছোট ছিলাম। আমাদেরকে আমাদের বাব-মা এভাবে বা এর চেয়েও বেশী আদর, স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালবাসা দিয়ে,
আর বিভিন্ন রকম ত্যাগ স্বীকার আর দুখ-কষ্ট সহ্য করে বড় করেছেন।
কেন তাদের ব্যাপারে একটু চিন্তা করি না? কেন? কেন? কেন?
আমরা এগুলো অনকে জানি কিন্তু সিবের মোহে যেন মানতে চাইনা বা মানতে পারি না।
তাই আসুন, আজ থেকে প্রতিজ্ঞাব্ধ হই, কোন অবস্থাতেই পিতা মাতার অবাধ্য হবো না। কারন,
পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া কবীরা গুণাহ। তাদের সকল কথাগুলো আমরা যথাসাধ্য
পালন করার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ!!!
আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের পিতা-মাতার খেদমত করে সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) এর ভালবাসা পাওয়ার ও চুড়ান্ত গন্তব্যস্থল জান্নাত লাভের তাওফীক দান করুন। আমীন।