Site Links

Wednesday, March 23, 2016

প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার ৩৪ টি উপকারিতা



কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রসুনের কাছ থেকে দূরেই থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি।
বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই। ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণায় রসুনের এইসকল গুণাবলী প্রকাশ পায়।
আজ জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। জেনে নিন প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা।
১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
১১) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১২) গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
১৩) স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
১৪) রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫) প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৬) পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
১৭) ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে।
১৮) শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।
১৯) ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
২০) দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
২১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২২) হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়।
২৩) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২৪) স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে।
২৫) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
২৬) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
২৭) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
২৮) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৯) চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
৩০) রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩১) দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩২) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে।
৩৩) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৩৪) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সতর্কতাঃ
১) দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া যায়।
২) রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো।
৩) অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।

জেনে নিন যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের উপকারিতা !


যৌনতার বাগিচায় যদি নতুন কিছুর শুরু না হয়, তাহলেই সর্বনাশ। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও বেশ কিছু যৌন সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের অনুন্নত মানের স্পার্মের জন্য যৌন অক্ষমতা দেখা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলি লিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিযেনর কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিযন্ত্রিত জীবন, ব্যাযামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাডেছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহাযক রসুন। কেননা সুস্থ বীর্য তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভাল ফল দিযে থাকে। রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয।
কারণ, এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমরা প্রায প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকি। আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায ফিরে পেতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয যার অত্যধিক প্রযোগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী।
কী ভাবে খাবেন রসুন : প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয়। যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম জল বা দুধ খাওয়া উচিৎ। এতে ভাল ফল পাবেন।
যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস দুই বা এক চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
সাবধানতা: যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে অ্যালার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

খালি পেটে রসুন খাবার উপকারিতা

আমরা ছোট কাল থেকে খালি পেটে রসুন খাবার কথা শুনে এসেছি। যা অনেকের কাছে নানী-মায়ের রেসিপি নামেও পরিচিত। খালি পেটে রসুন খাবার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হবার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে। খালি পেটে রসুন খাবার উপকারিতা জেনে নিন-
১. প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: 
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ আর রক্ষা পায় না।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
৩. অন্ত্রের জন্য ভাল:
খালি পেটে রসুন খাবার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৪. শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে:
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
৫. শ্বসন:
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
৬. যক্ষ্মা প্রতিরোধক:
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।
# সতর্কবার্তা:
যাদের রসুন খাবার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাদের রসুন খাবার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়া ভাল।

ত্বকের ৫টি সমস্যা সমাধানে মেহেদিপাতার ব্যবহার


শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন? নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, চুল আর হাত রাঙাবার মেহেদি কীভাবে ত্বকের সমস্যা দূর করবে! মেহেদি সাধারণত রঞ্জক হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। তবে এর কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে ত্বকের বিভিন্ন রোগ।

১. পা ফাটা

শীতকালে তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বারোমাস পা ফাটার সমস্যা থাকে। এছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদিপাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

২. খুশকি

মাথার ত্বকে ফাঙ্গাসের আক্রমণে খুশকির মতো চর্মরোগ হয়। খুশকি দূর করতেও মেহেদি কার্যকর। একটি পুরো ডিম ফেটিয়ে নিন। এর সাথে মেহেদিপাতা বাটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এ কাজ করুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে, চুলও পুষ্টি পাবে।

৩. পানি পচা রোগ

সাধারণত নোংরা, জীবাণুযক্ত পানি লেগে এই রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও এ রোগ হতে পারে। এতে আঙুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।

৪. বলিরেখা

বলিরেখা দূর করতেও মেহেদির তুলনা নেই। ভাবছেন ত্বক লাল হয়ে যাবে কি না? মুখের ত্বকে মেহেদি ব্যবহারের নিয়মটি পুরো আলাদা। আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মেহেদিপাতার রস। আর ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা হবে বিলম্বিত।

৫. পুরোনো ক্ষত

পুরোনো ক্ষত, যেগুলো বারবার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদিপাতা বেটে এরকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।

মেহেদি পাতার ৭টি অসাধারণ ঘরোয়া ব্যবহার



প্রাকৃতিকভাবে চুল রং করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে মেহেদি পাতার জুড়ি নেই। মেহেদি পাতা বলতে প্রথমেই মাথায় আসে রাঙ্গা হাতে বাহারি নকশা। অনেকে আবার চুলের যত্নে মেহেদি পাতাকেই প্রথম সারিতে রাখে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, হাত সাজানো আর চুলের যত্ন ছাড়াও মেহেদি পাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন দেখে নেই, হেনা বা মেহেদি পাতা কত ভাবে আমাদের উপকার করে থাকে।

১। পায়ের জ্বলাপোড়া রোধ

তাজা মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

২। মাথাব্যথা হ্রাস করতে

মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। মুখের ঘা ভাল করতে

এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউতওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

৪। টাক পড়া রোধ

সরিষার তেলের সাথে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

৫। খুশকি দূর করতে

খুশকি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

৬। ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করতে

মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৭। বাতের ব্যথা রোধে

বাত এবং বাতজনিত সবরকম ব্যথা দূর করতে মেহেদি তেল বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ভাল ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস করুন।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার উৎসব!

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ও বিশ্বনাথ ইউনিয়নের মাদাই বিলে গত শনিবার উজ্জাপন হয়ে গেল দিনব্যাপী মাছ ধরার উৎসব।
বছরের শুকনো মৌসুমের নির্দিষ্ট একটি দিনকে নির্ধারন করে এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়ে আসছে শত বছর ধরে। তার এ পালাক্রমে গত ২৭ এ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ দিনটিকে বছরের অন্যতম দিন হিসেবে বেছে নিয়ে পালিত হয়ে গেল এই ঐতিহ্যবাহী মাছধরা উৎসব।
গ্রামের হাজার হাজার সৌখিন মৎস্য শিকারী দূর-দুরান্ত থেকে পাল ধরে এসে পারি জমায় সিলেটের এই মাদাই বিলে। পলো, ঠেলাজাল, হাতাজাল, টানাজাল ইত্যাদি নিয়ে নেমে পরে সবাই বিলের পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশে। ছোট-বড় সবাই উল্লাসে মেতে ওঠে এই সময়টায় আর পরিবেশ হয়ে ওঠে আরও উৎসবমুখর।

Thursday, March 10, 2016

flexi-plane নেই তো কি হয়েছে- দুটো নতুন পদ্ধতিতে মাত্র ১.১৮ টাকাতে বাড়িয়ে নিন আপনার GP সিমের MB এর মেয়াদ ১ মাস। না দেখলে আপনার লস…।



আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সম্প্রতি flexi-plane এর কিছু পরিবর্তনের জন্য অনেকেই GP সিমে MB এর মেয়াদ বাড়াতে পারতেছেন না। অনেকেই এর জন্য আমাকে FB এ মেসেজ করেছে তাই তাদের জন্যই আমার আজকের এই টিউন লিখা।
প্রথমে বলে রাখি আপনার যে MB গুলো *৫৬৬*১০# ডায়াল করলে দেখা যাবে শুধুমাত্র সেই MB গুলোর মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।
আমি Flexi-plane চালু হবার আগে থেকেই ১ম পদ্ধতিটা ব্যবহার করে MB এর মেয়াদ ১মাস করে বাড়িয়ে নেই।
★১ম পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনার সিমের ইন্টারনেট বন্ধ করতে ডায়াল করুন *5000*0*4*3# তার পরে এই মেসেজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ↓

সিমের নেট বন্ধ হলে ডায়াল করুন *500*1# এখন এই মেসেজ আসবে ↓

এর পরে ডায়াল করুন *5000*8*1*1*2# এখন এই মেসেজ আসবে ↓

কাজ শেষ এখন MB চেক করতে ডায়াল করুন *566*10# দেখুন ১মাস মেয়াদ বেড়ে গেছে।
★★২য় পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনার সিমের ইন্টারনেট বন্ধ করতে ডায়াল করুন *5000*0*4*3# তার পরে এই মেসেজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ↓

সিমের নেট বন্ধ হলে ডায়াল করুন *5000*55# এখন এই মেসেজ আসবে ↓

এর পরে ডায়াল করুন *5000*8*1*1*2# এখন এই মেসেজ আসবে ↓

কাজ শেষ এখন MB চেক করতে ডায়াল করুন *566*10# দেখুন ১মাস মেয়াদ বেড়ে গেছে।
★★★ আরেকটি কথা বলে রাখি MB এর মেয়াদ বাড়ানোর পরে অনেক সময় নেট স্পিড কমে যায়। যদি আপনার নেট স্পিড কমে গিয়ে থাকে তবে*5000*55# ডায়াল করে GP easy-net চালু করবেন। তাহলে আবার সুপার ডুপার 3G স্পিডে নেট চলতে শুরু করবে।
★★★আরেকটা ছোট্ট জরুরি একটা টিপস দেই- অনেক সময় সিমে MB থাকার পরেও ইন্টারনেট অন হয়না,এতে অনেকেই নতুন করে MB কিনে নেট চালু করেন তারাও *5000*55# ডায়াল করবেন তাহলেই বিনামুল্যে ইন্টারনেট চালু হবে।
★★★★আগে পদ্ধতি গুলোতে MB বাড়ানোর চেষ্টা না করে কোন টিউমেন্ট করবেন না। কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি →Facebook