Site Links

Monday, April 18, 2016

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর করার ৭টি সহজ উপায়





 খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটা ক্রম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়।
মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়।
শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়।
তবে চুল ও মাথার ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন খুশকি দূর করার ৭টি উপায়।
  • ১. পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
  • ২. টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।
  • ৩. একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।
  • ৪. মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।
  • ৫. মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।
  • ৬. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
  • ৭. পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।

লক্ষ্য করুন :

*নিয়মিত চুল আঁচড়ান। এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
*পুষ্টিকর খাবার খান। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
*চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।
*কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হোন।

খুসকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আসছে না আসছে করেও কিন্তু শেষেমেষ শীত এসে হাজির। নানা রকম সবজিতে ভরে গেছে বাজার। তাই শীত মানেই জমিয়ে খাওয়ার আয়েস। তবে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে শীতকালটা কিন্তু মোটে‌ও সুবিধার নয়।
শীতকালে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ-সুক্ষ। উপরন্তু বাড়তি পাওনা খুসকি। শীতকালে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তাতেই এই সমস্যা। এছাড়া বিভিন্ন কারণেও খুসকি হতে পারে। যেমন-ব্যাকটেরিয়াল বা ফানগাল ইনফেকশন। চুলে ঠিক মত শ্যাম্পু না করা ও চুল ঠিক মত না আঁচড়ানো অথবা পুষ্টির অভাবে, এইসব কারণ হতে পারে খুসকির।
তবে আজকাল বাজার ভরে গেছে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই শ্যাম্পুতে থাকা কেমিকেল খুসকি তো তাড়ায় কিন্তু চুল হারিয়ে ফেলে তার প্রাণ। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুসকি। তাই চিরতরের জন্য এই খুসকি বিদায় করতে আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
১) ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো আর দইয়ের একটি মিশ্রণ বানিয়ে ভাল করে চুলের গোরায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) অলিভ ওয়েল বা তিল তেল সারা রাত চুলে লাগিয়ে সকালে স্নান করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোরায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভিনিগার আর জল সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোরায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে ভাল করে বেটে নিয়ে চুলের গোরায় লাগান। ২,৩ ঘণ্টা রেখে শিকাকাই বা রিঠা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) আপেল থেকে তার রস বার করে নিন। এই রস দিয়ে ভাল করে চুল ম্যাসাজ করুন, খুসকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
৬) বিট মূলের রস,ভিনিগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত খুসকি দুর হবে।
৭) অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতা বেটে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮) চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভাল করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধোবেন। একবার শ্যাম্পু করলেই তফাত বুঝতে পারবেন |
৯) নিম পাতার অনেক রকম অ্যান্টি ব্যায়োটিল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফানগাল গুণ আছে, তাই যাদের অনেক খুসকি আছে তারা নিমের পাতা বেটে আধ ঘণ্টা মাথায় লাগিয়ে রাখুন,পরে ধুয়ে ফেলুন।  সপ্তাহে দু’বার লাগান। আর খুসকি থাকবে না।
১০) রসুন যা সহজেই পাওয়া যায়, খুসকি সারানোর জন্য এটা খুবই ভাল। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে অধঘন্টা লাগিয়ে রাখুন পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Tuesday, April 12, 2016

স্টার্ট মেনুতে Run বাটন যোগ করে নিন উইন্ডোজ ৭ এ

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবারো হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন কোন টিপস নিয়ে। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে একেবারে সহজ একটা বিষয় নিয়ে লিখব। বেশির ভাগ মানুষই এটি জানেন। তবে যারা তেমন কম্পিউটার নিয়ে ঘাটা ঘাটি করেন না বা একেবারে নতুন তাদের জন্য মুলত আজকের টিউন। টিউনের নাম দেখে হয়তো বুঝে গেছেন কি নিয়ে আজকে লিখব। যারা নতুন তারা অনেকে উইন্ডোজ ৭ এ Run অপশন খুজে পান না। আমিও যখন প্রথম উইন্ডোজ ইন্সটল দিলাম তখন আমারও একি দশা হয়েছিল। তাই ভাবলাম জিনিসটা ছোট হলেও দরকারি বটে সুতরাং ব্যাপারটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। অনেক কথা বললাম এখন কাজের কথায় আসি।
প্রথমে আপনার টাস্ক বার এ মাউস রেখে রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন।
এরপর যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে Start Menu তে ক্লিক করুন।
এরপর Customize এ ক্লিক করুন।
এরপর নিছের দিকে গিয়ে দেখুন Run Command নামে একটা অপশন আছে ওইখানে টিক দিয়ে Ok করে বের হয়ে আসুন। বোঝার সুবিধার জন্য স্ক্রীন শট দিলাম।